,

ছাত্ররাজনীতি চায় বামপন্থীরা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘না’

জাবি প্রতিনিধি:

দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বামপন্থীরা ছাত্ররাজনীতি চায় তবে তারা ছাত্রদল,জামাত,শিবির রাজনীতি চায় না। অন্যদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনো ছাত্ররাজনীতি চায় না। তবে জাকসু নির্বাচন চায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক সোহাগী সামিয়া বলেন,  জনগনের অবৈধ ভোটের সরকার আওয়ামিলীগ দল। যারা ১৫ বছর শাসন করেছে। যার ফলে ছাত্রলীগের রাজনীতি ছাত্রদের পক্ষে যাওয়ার কথা ছিল না।ছাত্রলীগরা এই ক্যাম্পাসকে শাসন, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও দখলদারী করেছে।

মানুষের গনতান্ত্রীক যে নূন্যতম অধিকার তা ক্যাম্পাসে তারা চর্চা করতে দেয়নি।তাই বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা হোক এবং বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রলীগদের জন্য নিদিষ্ট আইন করা হোক। আমরা আনন্দোলনের সময় দেখতে পাই শিক্ষকদের দুই ধরনের ভূমিকা ছিল। যারা জীবন ও চাকরীকে পরোয়া না করেই আনন্দোলনকারীদের পক্ষে ছিল। আরেক দল ছিল যারা ঐ সময়ে কিছু শিক্ষক দলীয় পদলে ব্যস্ত ছিলেন। তখন শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষকদের যে অধিকার তাদের কাছে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল না।যার ফলে আনন্দোলনকারীরা যখন ভিসি ভবনের সামনে আটকে ছিল তখন তারা শিক্ষার্থীদের পক্ষে না থেকে পুলিশ ও ছাত্রলীগের পক্ষে কাজ করেছে। তাই বলতে চাই যেহেতু আওয়ামিলীগ টিকতে পারে নাই। আওয়ামিলীগ রাজনীতি করবে এমন শিক্ষক রাজনীতিও আমরা চাই না।

তাছাড়া এই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি অপশক্তির সংগঠনের রাজনীতি ছাড়াও এদেশে আরও আদর্শবাদী সংগঠন আছে যাদের রাজনীতি এই ছাত্রসমাজ দেখে নাই। আমরা বলতে চাই ছাত্রলীগের যে রাজনীতি ছাত্রদলের সেই একই রাজনীতি।

আপনি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি চান কি-না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব রাজনীতির বাহিরেও আদর্শ রাজনীতি রয়েছে। আর তা হচ্ছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের রাজনীতি। কারণ বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট যেভাবে তার জন্মলগ্ন থেকে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে বিশেষ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষিতে যৌক্তিক আনন্দোলন সব সময় থেকেছে, পরিশ্রম করেছে আর আমরা যেহেতু ছাত্রদের পক্ষে কাজ করেছি ছাত্রদের অধিকার রক্ষার্থে কাজ করেছি, দুঃশাসনকে চ্যালেঞ্জ করেছি তাই অবশ্যই সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ছাত্ররাজনীতি দরকার।

ছাত্র ইউনিউনের সভাপতি অমর্ত্য রায় বলেন, আমরা ছাত্ররাজনীতি চাই তবে আমরা দেখেছি ছাত্রদল, শিবির, ছাত্রলীগ যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে এমন রাজনীতি চাই না। তারা যদি এই রকম রাজনীতি না করে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে রাজনীতি করে এমন রাজনীতি চাই। আমার এক বন্ধু ছাত্রদল করতো আতঙ্কে সে ক্যাম্পাসে ঠিকমতো আসতে পারতো না। এখন ছাত্রলীগের কোনো শিক্ষার্থী যেন এমন পরিস্থিতির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর যারা এই সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকবে তারা যেন হিংস্রাত্নক রাজনীতি না করে। আমরা হিংস্রাত্নক রাজনীতি করি না। সবসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকি ন্যায়, নীতি নিয়েই কথা বলি শিবির, ছাত্রদল, ছাত্রলীগের মতো সন্ত্রাসী রাজনীতি আমরা এ পর্যন্ত করি নাই।

ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জোবায়ের আহমেদ শোভন বলেন, ক্যাম্পাসে আর ছাত্র-রাজনীতি চাই না। ছাত্রদের অধিকার রক্ষার্থে ছাত্র সংসদ সচল চাই। এতো দিন সবার রাজনীতি দেখেছি সবাই নিজের স্বার্থে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি করেছে। শিক্ষার্থীদের কোনো উপকার তো হয়নি বরং নিপীড়নের শিকার হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

Sponsor

Daily Darpan

Contact for Sponsor

নতুন উপাচার্য পেলো বাকৃবি

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ২৬তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক.....

You cannot copy content of this page