বাকৃবি প্রতিনিধি:
দেশের কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৬৪তম প্রতিষ্টা দিবস আজ যা বাকৃবিয়ানদের কাছে “বাকৃবি দিবস” নামেই পরিচিত।
রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৫টা ৩৪ মিনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে বাকৃবির শিক্ষক সমিতি।
বেলা ১১টায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি র্যালীর আয়োজন করা হয় যা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সাড়ে ১১টায় বৃক্ষরোপন, ১২টায় উপাচার্যের বাসভবন সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ এবং দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি কামনা করে বাকৃবির সকল উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সরদার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান সরকার, বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ গড়ার পিছনে বাকৃবি গ্র্যাজুয়েটদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সামনের দিনগুলোতে এই অর্জনগুলো ধরে রাখতে হবে।
তিনি আরোও বলেন, আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়কে নোংরা রাজনীতি মুক্ত রাখতে।
উল্লেখ, পাকিস্তান আমলে ১৯৬১ সালের ১৮ আগস্ট “পূর্ব পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” নামে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদ এবং ৪৪ টি বিভাগে প্রায় আট হাজার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
দেশের সর্বোচ্চ এই কৃষি বিদ্যাপীঠ থেকে বের হওয়া গ্রাজুয়েট ও গবেষকরা উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন ফসল ও আধুনিক, লাভজনক চাষাবাদ পদ্ধতি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
এছাড়া প্রাণিদের বিভিন্ন ভ্যাকসিন, টিকা, আণুবীক্ষণিক পর্যায়ে প্রায় শতভাগ নির্ভুল রোগ নির্ণয়, উচ্চফলনশীল গবাদিপশু ও হাস-মুরগির জাত উৎপাদন করছে।
কৃষি অর্থনীতিতেও ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। যেমন শস্যবীমা কার্যক্রম, ক্ষুদ্র সেচ কার্যক্রমের উন্নয়ন। বিভিন্ন পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল মাছ চাষ ও মাছের জাত উদ্ভাবনের মৎস্য ক্ষেত্রেও অবদান রাখছে। এছাড়া বিভিন্ন আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষিকাজকে সহজ করেছে।