খুবি প্রতিনিধি:
‘আষাঢ়, কোথা হতে আজ পেলি ছাড়া।
মাঠের শেষে শ্যামল বেশে ক্ষণেক দাঁড়া॥
জয়ধ্বজা ওই-যে তোমার গগন জুড়ে।
পুব হতে কোন্ পশ্চিমেতে যায় রে উড়ে,
নাচের নেশা লাগল তালের পাতায় পাতায়,
হাওয়ার দোলায় দোলায় শালের বনকে মাতায়।’
বর্ষার চিরচেনা রূপ ফুটে ওঠে রবীন্দ্রনাথের এই কবিতায়। শরতের নীল আকাশের মাঝে মাঝে উঁকি দিচ্ছে কালো মেঘ, হঠাৎ করেই মেঘের গুড়ুম গুড়ুম ডাক সাথে ঝুমবৃষ্টি। এক পশলা বৃষ্টি শেষে যেন সতেজতা ফিরে আসে প্রকৃতির বুকে। সৌন্দর্যের লীলাভূমি খ্যাত ১০৬ একরের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েও এর ব্যতিক্রম দেখা যায় না। হিজল তলায়, জারুল বনে বা সোনালী ফুলের হলুদ আভায় যেন ঠিকরে পড়ছে বর্ষার সতেজ আভা।
“এসো নিপোবনে ছায়া বীথি তলে, এসো করো স্নান নবধারাজলে “,কবিগুরুর এই গানের সত্যতা যেন খুবির আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে।বৃষ্টির জলে ভিজে গাছপালা যেন আবার নতুন রূপে সেজে উঠেছে। মাটির ভিতর থেকে উঠে আসা মিষ্টি গন্ধ ক্যাম্পাসের বাতাসে মিশে গেছে যা শিক্ষার্থীদের জন্য এক প্রশান্তিদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ক্যাম্পাসের লেকে ফুটেছে পদ্ম, শাপলা, যার সাদা ও গোলাপি পাপড়ি গুলো পানির উপরে প্রতিনিয়ত খেলা করছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় রক্তিম আভা ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া। বকুল, বেলী, হাসনাহেনা যেন নিজেদের শুভ্রতা প্রকাশের প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ফিল্ডে দেখা মিলছে শুভ্র সাদা কাশফুলের। শরতে বর্ষার ছোঁয়া সাথে নতুন রূপে সতেজ ক্যাম্পাস, এই দুইয়ের মিলবন্ধনে উৎফুল্ল সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনামিকা জানায়,বৃষ্টির পরে এ যেন এক নতুন ক্যাম্পাস। চারিদিকে সবুজ গাছপালা আর নাম না জানা হরেক রকম জংলিফুল আমাদের যান্ত্রিক জীবনে খানিকটা স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে।