খুবি প্রতিনিধি:
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজিতা হল নানা সমস্যায় জর্জরিত। খুবির আবাসিক হল অপরাজিতায় অস্বাস্থ্যকর খাবার, অনিরাপদ পানি ও আবাসন সংকট নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
হলের ছাত্রীরা জানান, ক্যান্টিনের খাবার নিম্নমানের। ডাইনিং বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে এসব অপুষ্টিকর ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হচ্ছে তাদের। নানা সময় খাবারে পোকা পাওয়া যাচ্ছে। ফলে এসব খাবার খেয়ে অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।
নিরাপদ পানি নিয়েও রয়েছে ভোগান্তি। গোসলের পানিতে পোকা পাওয়াটা যেন নিত্যদিনের ঘটনা, যা রীতিমতো গা ঘিনঘিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এসব পানি ব্যবহার করে গোসলের ফলে ত্বক এবং চুলের নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে হলের ছাত্রীদের।
হলে ছাত্রীদের আবাসন সংকটও রয়েছে চোখে পড়ার মতো। অনেককে গণরুমে গাদাগাদি করে বাস করতে হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের এক ছাত্রী জানান, “গোসলের পানিতে হরহামেশা পোকা দেখতে পাই। অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এই পানি প্রতিদিন আমাদের ব্যবহার করতে হয়। কর্তৃপক্ষকে অনেকবার বলার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। এছাড়া হলের গণরুমে গাদাগাদি করে বসবাস করতে হচ্ছে। এতে কোনো রকমে রাত কাটানো গেলেও সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় পড়াশোনা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।”
অন্য এক ছাত্রী বলেন, “প্রায় খাবারে চুল দেখতে পাই। এ বিষয়ে তাদেরকে জানালে তারা ব্যাপারটি অস্বীকার করেন।”
হলের প্রোভস্ট না থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ক্যান্টিনের খাবারে পোকা পাওয়ার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। আমরা ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। তারা ইতিমধ্যে তাদের পুরাতন কর্মচারীকে ছাটাই করেছেন এবং নতুন ২ জন আজ নিয়োগ দিয়েছেন। পানিতে থাকা পোকা নিয়ে জানান, আমরা খাবার পানির ট্যাংক মাসে চারবার পরিষ্কার করি। কিন্তু গোসল ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত পানি সেন্ট্রালি আসে। এটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আওতাধীন, আমাদের হাতে কিছু নেই। সম্ভবত পানি যেই পাইপ দিয়ে হলে আসে সেই পাইপে সমস্যার জন্য এমনটি হচ্ছে। নতুন প্রভোস্ট আসলে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা করছি। আর আবাসন সমস্যা আমরা আগে থেকেই ফেস করছি; আমাদের সিট সংখ্যা অপ্রতুল। ১৫০০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে সিট রয়েছে মাত্র ৫৭৬টি, যার কারণে গণরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ হলে এই বিষয়ে স্থায়ী সমাধান হবে।