জাবি প্রতিনিধি:
গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে আওয়ামী লীগের পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল ও অন্যান্য অপতৎপরতা রুখে দিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। ঢাকা অভিমুখে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের গমন ও যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিহত করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা থেমে থেমে তাদের এই অবস্থান কর্মসূচি চালাতে থাকেন।
আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৮ টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান ফটকে (ডেইরি গেইট) এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি নবীনুর রহমান নবীন ডেইলি দর্পণকে বলেন, পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ ও তার গুন্ডা বাহিনী ছাত্রলীগের ত্রাসের রাজ্য প্রতিষ্ঠিত ছিলো অস্ত্রের মহড়া, গুম, খুন ও সন্ত্রাসবাদের উপর। ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে জুলাই মাসে যে গণহত্যা সংঘটিত করেছে সেই রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। বিগত ১৬ বছরের প্রতিটি অরাজকতা, ভোট চুরি, দূর্নীতি ও হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার রাখে না। এই মহুর্তে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা যদি দেশ নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র করে, দেশকে অস্থিতিশীল করার নূন্যতম চেষ্টা করে তবে তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য ও তাদের শক্তভাবে প্রতিরোধে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বদ্ধপরিকর। যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল দৃঢ় অবস্থান নিশ্চিত করবে এবং সার্বিক কর্মসূচী অব্যাহত রাখবে।
এসময় মুজিব হলের যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন হাবিব হিরন ডেইলি দর্পণকে বলেন, পতিত স্বৈরাচারী সাইকোপ্যাথ হাসিনা এবং এবং তাদের দোসরদের এই বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই, তারা দীর্ঘ ১৭ বছর বাংলাদেশের ছাত্র জনতার উপর স্টিমরোলার চালিয়েছে এবং ২৪ এর আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর নির্বিচারে গুলী বর্ষণ করে গণহত্যা করেছে। এই খুনি হাসিনার দোসরদের যেকোনো মূল্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিহত করা হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মেহেদী হাসান যুগ্ম আহবায়ক মুজিব হল, কামরুল ইসলাম সোহাগ, আমির উদ্দিন দেওয়ান, মো. জোবায়ের হোসাইন, সাইফ উদ্দিন, হাসান শাহরিয়ার রমিম, রাজুয়ার হোসাইন, কাব্বির, নাজমুস সাকিব, আবু বকর সিদ্দিক রাশেদ, আব্দুল্লাহ বাকী অন্তর, মো. রাসেল, সুমন সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা।