জাবি প্রতিনিধি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার ধাক্কায় মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাঁচির মৃত্যুর প্রতিবাদে ২০২৩-২৪ সেশনের (৫৩তম ব্যাচ) নবীন শিক্ষার্থীরা জাহাঙ্গীরনগরে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কয়টি গেইটে তারা তালা লাগিয়ে দেয় এবং মেইন গেইটে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে প্রথম বর্ষের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের একাংশ ডেইলি দর্পণকে জানান, তাঁরা রাঁচি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করাসহ আট দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন। তাঁদের কর্মসূচি চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোন ধরনের রিক্সা প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
অন্য দাবিগুলোর হলো: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই কাঠামোগত হত্যার যথাযথ বিচার করতে হবে; নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে যথাযথ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; নিবন্ধনহীন সব যানবাহন ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে; পর্যাপ্ত সড়কবাতি, ফুটপাত ও গতিরোধক স্থাপন করতে হবে এবং যানবাহনের গতি পরিমাপ রাখতে হবে; মেডিকেল সেন্টারের জরুরি সেবার মানোন্নয়ন করতে হবে; সব রিকশাচালকের প্রশিক্ষণ থাকা সাপেক্ষে নিবন্ধন দিতে হবে; অদক্ষ নিরাপত্তাকর্মীদের প্রত্যাহার এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল করতে হবে।
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ রাসেল ডেইলি দর্পনকে বলেন, গতকাল আমাদের ৫৩তম ব্যাচের বান্ধবি আফসানা করিম রাঁচির কাঠামোগত হত্যার বিচার,রিকশাচালক দের প্রশিক্ষণ পূর্বক রেজিস্ট্রেশন সহ আরো কিছু বিষয় সম্বলিত ৭ দফা দাবি পেশ করি আমরা ৫৩তম আবর্তন এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
পরে আমরা ভিসি বরাবর দাবি উত্থাপন করলে তিনি গড়িমসি করলে আমরা ৫৩ তম আবর্তন আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া অব্দি সকল ক্লাস, ল্যাব পরীক্ষা বয়কট করি এবং রাঁচির সুষ্ঠ বিচার ও সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন এর আশায় আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করব তারই একটা জাহাঙ্গীরনগর ব্লকড কার্যক্রম এবং জাহাঙ্গীরনগর ব্লকড কার্যক্রম পরিচালনায় আমরা ৫৩ তম আবর্তন এর শিক্ষার্থীরা সকাল ৭টাই ডেইরি গেইট এ আমাদের অবস্থান নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল মিলন ডেইলি দর্পনকে বলেন, আমাদের ব্যাচমেট আফসারা রাচির এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে ৫৩তম ব্যাচ সহ জাবির সকল শিক্ষার্থী গভীরভাবে শোকাহত। এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় এক মেধাবী তরুণীর অকালে ঝরে যাওয়া কখনোই কাম্য নয়। আজ রাচি, কাল হয়তো অন্য কারোর সাথে এমনটা হতে পারে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, দুষ্কৃতকারীকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা হোক এবং প্রশাসন ব্যবস্থাকে আরো মজবুত করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে কোন মেধাবীকে এরকম দুর্ঘটনার শিকার হতে না হয়।