জাবি প্রতিনিধি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ব্যাটারিচালিত রিক্সার ধাক্কায় নিহত মার্কেটিং বিভাগের ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাচি’র রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে এই মাহফিল আয়োজন করা হয়।
দোয়া মাহফিলে নিহত আফসানা করিম রাচির বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শাখা ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় কয়েকশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মিলাদ মাহফিল শেষে শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি হারুনুর রশিদ রাফি ডেইলি দর্পনকে বলেন, আফসানা করিম রাঁচির আকষ্মিক মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তার রূহের মাগফিরাত কামনা করে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মানুষ মরণশীল। প্রত্যেক মানুষকেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। সেজন্য প্রত্যেকের উচিত সবসময়ই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকা। মৃত্যুর কোন বয়স, সময়সীমা নেই। কখন কাকে চলে যেতে হবে কেউ বলতে পারবে না। আমি আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের সবাইকে আকষ্মিক মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন। আমি প্রশাসনের কাছে জোড় দাবী জানাচ্ছি যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরাপদ ক্যাম্পাস বিনির্মানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়। আমি আফসানা করিম রাঁচির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আল্লাহ তায়ালা যেন তার পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করেন সেই কামনা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের ৫২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আলামিন হোসেন ডেইলি দর্পনকে জানান, আমাদের বোন আফসানা করিম রাঁচির রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাবি শাখা ছাত্রশিবির; যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। একজন মুসলমান হিসাবে ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমি এই দোয়া মাহফিলে এসেছি।
একই বিভাগের ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শোয়াইব হোসেন বলেন, গতকাল এক মর্মান্তিক রিক্সা দূর্ঘটনায় আমাদের বোন আফসানা করিম রাঁচি নিহত হয়। তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেই মাহফিলে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্যে এখানে এসেছি।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সামনের রাস্তা পার হওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের (ডেইরি গেইট) দিক থেকে আসা একটি রিক্সা রাচিকে চাপা দেয়। তৎক্ষণাৎ তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।