কুবি প্রতিনিধি:
সপ্তাদশ বিজেএস পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত কুবি শিক্ষার্থী স্বর্ণালী বলেন ‘আমি যখন পরীক্ষা দিচ্ছিলাম তখন আমার বাবা আইসিউ’তে ছিল। সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে আমি জজ হওয়ার খবরটা বাবাকে দিতে পারিনি। কারণ তিনি এখন আর পৃথিবীতে নাই। তবে, আমার পরিবারের সবাই খুবই আনন্দিত।’
সপ্তাদশ বাংলাদেশের জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়(কুবি) থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন আইন বিভাগের ২ জন শিক্ষার্থী।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জেলা ও দায়রা জজ এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ এম রেজা জাকের কতৃক সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এতে সুপারিশপ্রাপ্ত কুবি শিক্ষার্থীরা হলেন আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী স্বর্ণালি (৫৫ তম) এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রুবাইয়াত আল মাহিম (৬৯ তম)। আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. আলী মোর্শেদ কাজেম তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী স্বর্ণালি বলেন, আজকে আমার জন্য একই সাথে আনন্দের এবং কষ্টের দিন।আমি এইবার খুবই ক্রিটিকাল সময়ে পরীক্ষা দিয়েছি। আমি যখন পরীক্ষা দিচ্ছিলাম তখন আমার বাবা আইসিউ’তে ছিল। সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে আমি জজ হওয়ার খবরটা আমার বাবাকে দিতে পারিনি। কারণ তিনি এখন আর পৃথিবীতে নাই। তবে, আমার পরিবারের সবাই খুবই আনন্দিত।’
তিনি আরো বলেন,’ আমার এই সাফল্যের পেছনে আমার বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকদের অনেক অবদান আছে। সেই সাথে আমার পরিশ্রম এবং আমার পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় আজকে আমার এই পর্যন্ত আসা।’
সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী রুবাইয়াত আল মাহিম বলেন‚ আইন বিভাগে ভর্তির পর থেকেই জজ হওয়ার ইচ্ছা ছিলো৷ এটা যে প্রথমবারেই হয়ে যাবে সেটা ভাবিনি। প্রথমেই আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। সেইসাথে মা, বাবা, দুলাভাই এবং আমার কাছের বন্ধু ও ছোটভাইদের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সর্বশেষ আমার বিভাগের শিক্ষকদের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই তাঁরা সর্বদা আমার খোজ খবর নিয়েছেন। এ বছর আমরা দুজন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি, আমি আশা করছি সামনের দিকে আইন বিভাগ থেকে আরো বেশি বেশি শিক্ষার্থী জজ হিসেবে নিয়োগ পাবে।
এ বিষয়ে আইন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আলী মোর্শেদ কাজেম বলেন‚ সপ্তাদশ বাংলাদেশ জুড়িসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের দুইজন শিক্ষার্থী সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ায় বিভাগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তাদের সফলতায় বিভাগ গর্বিত। সফলতার এ ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকুক এ কামনা করছি।
উল্লেখ্য‚ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েরর নবীনতম বিভাগ আইন বিভাগে ইতিপূর্বে আরও ৩ জন সহকারী জজ হয়েছেন। ভবিষ্যতেও সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রেখে দেশে দক্ষ বিচারক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।