ফারুক হোসেন:
মেঘনা নদীতে বালু মহলের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে নিজ গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মতলবের কুখ্যাত নৌ-ডাকাত বাবলা বাহিনীর প্রধান বাবলা নিহত হয়েছে। কুখ্যাত নৌ- ডাকাত বাবলার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে এলাকাবাসীর উল্লাস এবং মিষ্টি বিতরণ করেছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী মল্লিকের চর গ্রামের রহিম বাদসার বাড়িতে বালু উত্তোলনের টাকার ভাগাভাগি কেন্দ্র করে নিজ গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় বাবলা খালাসী (৩৮) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো কয়েকজন।
বাবলা খালাসী চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর গ্রামের বাচ্চু খালাসী ছেলে।
জানা যায়, কুখ্যাত নৌ-ডাকাত বাবলা বাহিনীর প্রধান বাবলা বিরুদ্ধে মতলব উত্তর, দাউদকান্দি, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় হত্যা, ডাকাতি ও নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন সহ বিভিন্ন ৪২টি মামলা রয়েছে।
স্হানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মুন্সীগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী মেঘনা নদীতে বাবলা বাহিনি প্রধান বাবলা দীর্ঘদিন রীতিমতো অবৈধ বালু উত্তোলন করে আসছে। এলাকাবাসী বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় অনেকেই গুলিবিদ্ধ সহ তার বাহিনীর হামলার শিকার হতো। এছাড়াও চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত পদ্মা-মেঘনা নদীতে চলাচলরত বালুবাহী বাল্কহেড, তেলবাহী জাহাজ, যাত্রীবাহী লঞ্চ, স্টিমার ও নদীতে মাছ ধরার জেলেদের ট্রলারে হামলা চালিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অবৈধ বালু উত্তোলনসহ সবকিছুই বাবলা বাহিনী হাতের মুঠে থাকতো।
এদিকে কুখ্যাত নৌ- ডাকাত বাবলার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মুন্সীগঞ্জ সদর, গজারিয়া উপজেলার মেঘনা পাড়ের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান কুখ্যাত নৌ- ডাকাত বাবলার গুলিবিদ্ধ লাশ ইমামপুর ইউনিয়নের মল্লিকের চর গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদী এলাকায় রয়েছে বলে জানান।