পিরিয়ডের ব্যাথা নিয়ে কষ্ট পাচ্ছেন?

ডেইলিদর্পণ ডেস্ক:

পিরিয়ডের ব্যাথা খুবই সাধারন সমস্যা। শুধু মহিলাদের জন্য নয় কিশোরী মেয়েরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় এই ব্যাথায়। এই ব্যাথা বিভিন্ন কারণে সৃষ্টি হতে পারে, যেমন হরমোনের পরিবর্তন, জরায়ুর সংকোচন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এই ব্যাথা অনেক সময় খুবই অস্বস্তিকর এবং কষ্টদায়ক হয় যেটা দৈনন্দিন জীবনে বেশ প্রভাব ফেলে। তবে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে যা এই ব্যাথা কমাতে সহায়ক হতে পারে।

পিরিয়ডের ব্যথার কারণসমূহ

পিরিয়ডের ব্যাথার কয়েকটি সাধারণ কারণ রয়েছে যা নিচে উল্লেখ করা হলো:

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা : অর্থাৎ হরমোনাল ইমব্যালেন্স বা হরমোন ক্ষরনমাত্রা হঠাৎ অনেক বেড়ে যাওয়া কিংবা কমে গেলে পেটে ব্যাথা হতে পারে।

মাসিকের সময় জরায়ুর সংকোচন: মাসিকের সময় আমাদের জরায়ু সংকুচিত হতে থাকে। এর ফলে ও এ সময় পেটে ব্যাথা অনুভূত হতে পারে। এগুলো ছাড়াও এন্ডোমেট্রিওসিস, কিংবা ফাইব্রয়েড এর জন্য ও অনেক সময় মাসিক হলে পেটে ব্যাথা শুরু হয়।

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা পিরিয়ডের ব্যাথা কমাতে পারে। তার মধ্যে কিছু এখানে উল্লেখ করা হলো:

গরম জলপ্যাড ব্যবহার করে পেটের উপরের অংশে রাখলে বেশ আরাম পাওয়া যায়। আরো সহজ হয়, যদি হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করা যায়।

চা বা জিরা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করা যেতে পারে। এ সময় পেটে ব্যাথার কারনে গরম খাবার খেলে অনেকটা আরাম মেলে।

উপযুক্ত বিশ্রাম নিন এবং স্ট্রেস কমালে, ভালো হয়। কারন এগুলো হরমোনের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে অনেকটাই সাহায্য করে।

ব্যাথা নিয়ন্ত্রণে ব্যায়ামের ভূমিকা

নিয়মিত ব্যায়াম পিরিয়ডের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালনা বাড়ায় এবং এন্ডোরফিন হরমোন তৈরি করে যা ব্যাথা কমাতে কার্যকর। হালকা যোগব্যায়াম বা হাঁটা পদ্ধতি বেছে নিলে উপকার পাবেন। ব্যায়াম যখন নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হবে, তাতে মাসিকের সময় ব্যাথা কম হবে।

সঠিক খাদ্যগ্রহণ ও এর সুফল

সঠিক খাদ্যগ্রহণও পিরিয়ডের ব্যাথা কমাতে সহায়ক। ফল, সবজি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ ও বাদাম খাওয়া উপকারি। এছাড়া, অতিরিক্ত ক্যাফেইন এবং সোডা থেকে দূরে থাকাটা ভালো।

ডাক্তারি চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যবহার

যদি উপরের পদ্ধতিগুলো কাজে না আসে, তবে ডাক্তারি চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। কিছু দুঃখজনক ব্যাপার হল৷ , ডাক্তার ব্যথা কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন। তবে এন্ডোমেট্রিওসিস বা ফাইব্রয়েডের মতো সমস্যার জন্য বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

মানসিক স্বাস্থ্যের প্রভাব কিভাবে মোকাবেলা করবেন

পিরিয়ডের ব্যাথা মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলতে পারে। এটি উদ্বেগ এবং ডিপ্রেশনের মত অবস্থাকে বাড়াতে পারে। তাই মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও সঠিক বিশ্রাম এর দিকে খেয়াল রাখতে হবে । বন্ধুবান্ধব ও পরিবারসঙ্গীদের সাথে কথা বলা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।

তাই পিরিয়ড হলে, থাকুন চাপ মুক্ত আর ফ্রেস মাইন্ডে। তাহলে ওই সময় টা কাটিয়ে উঠতে আপনার কষ্ট অনেকটাই কমে যাবে।

আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য হেল্পফুল হয়েছে তো? যদি ভালো লাগে তাহলে আমাদের জানাচ্ছেন না কেন? আপনাদের কমেন্টে আমাদের কাজের গতি রকেটের মত বেড়ে যায়।

আর হ্যাঁ, আর কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে, আমাদের অবশ্যই জানান। আমরা, আপনার জন্য সেই বিষয়ে আর্টিকেল দিব।

Sponsor

Daily Darpan

Contact for Sponsor

You cannot copy content of this page