ডেইলিদর্পণ প্রতিবেদক:
চায়ে শুধু স্বাদ নয়, থাকতে পারে সুস্থতার জাদুও। এমনই এক উপকারী পানীয় হলো পুদিনা পাতার চা। তাজা পুদিনা পাতার স্নিগ্ধ সুগন্ধ আর ঠান্ডা স্বভাব শরীর ও মন দুটোই প্রশান্ত করে। শুধু রুচিবর্ধকই নয়, পুদিনা পাতার চা হজমের সমস্যা, মাথাব্যথা, ঠান্ডা-কাশি থেকে শুরু করে মানসিক চাপ কমাতেও দারুণ কার্যকর।
প্রাকৃতিক ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন এই ভেষজ পানীয় এখন স্বাস্থ্যসচেতনদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠছে। পুদিনা, যার বৈজ্ঞানিক নাম Mentha, এটি শুধু রান্নায় নয়, ভেষজ চিকিৎসাতেও বহুল ব্যবহৃত একটি উপাদান।
পুদিনা পাতার চায়ের উপকারিতা:
হজমে সহায়ক:
পুদিনা পাতায় থাকা মেন্থল হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি পেটের গ্যাস, অম্বল ও বুক জ্বালাপোড়া কমাতে কার্যকর।
শ্বাসপ্রশ্বাসে স্বস্তি:
পুদিনার চা পান করলে নাক বন্ধ, কাশি এবং ঠাণ্ডা উপশমে উপকার পাওয়া যায়। এটি শ্বাসনালী খুলে দেয় এবং অ্যালার্জি প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
মাথাব্যথা ও চাপ কমায়:
পুদিনার ঠান্ডা স্বভাব মাইগ্রেন বা সাধারণ মাথাব্যথা থেকে আরাম দেয়। এটি মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করে।
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে:
পুদিনা পাতায় থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
ক্যালোরি কম ও চর্বিহীন এই চা মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে, যা ওজন কমাতে সহায়তা করে।
চর্মের যত্নে উপকারী:
পুদিনার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাগুণ ত্বকের ব্রণ, ফুসকুড়ি এবং চুলকানি দূর করতে কার্যকর।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে:
পুদিনা প্রাকৃতিকভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে এবং মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
চা প্রস্তুতির পদ্ধতি:
১ কাপ গরম পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা ৫-৭ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ইচ্ছা করলে সামান্য মধু যোগ করতে পারেন। তারপর ছেঁকে নিয়ে পান করুন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন ১-২ কাপ পুদিনা চা পান করলে শরীর ও মন দুটোই থাকবে সতেজ। তবে গর্ভবতী মহিলা বা যাদের অ্যালার্জি আছে, তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এটি গ্রহণ করবেন।