রমাদান: রহমত, বরকত ও মুক্তির মাস

‘সিয়ামের নূর এসে জ্বালে ঈমানের আলো, পাপের অন্ধকার মুছে করে হৃদয় ভালো।’ রহমত-বরকত ছড়ায় রহমানের দান, আহলান সাহলান, মাহে রমাদান!’

রমজান মাস শুধুমাত্র রোজার জন্য নয়। এটি আত্মশুদ্ধি, ইবাদত ও গুনাহ মাফের শ্রেষ্ঠ সময়। এই মাসে আল্লাহ তাঁর দয়ার দরজা উন্মুক্ত করে দেন এবং প্রতিটি নেক আমলের প্রতিদান বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। তাই যে ব্যক্তি এই মাস পেয়েও নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারল না, সে নিঃসন্দেহে চরম ক্ষতিগ্রস্ত।

বর্তমানে আমাদের জীবনে বরকত কমে গেছে। কারণ আমরা আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে সরে গেছি। ঘর থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও আমরা ইসলামের শিক্ষা ভুলে গেছি। যার ফলে দুঃশাসন, অবিচার, এবং সংকট আমাদের ঘিরে ফেলেছে। রমাদান আমাদের জন্য এক মহাসুযোগ, আল্লাহর দিকে ফিরে আসার, নিজের আত্মাকে শুদ্ধ করার, এবং জীবনে বরকত ফিরিয়ে আনার।

এই মাসে আমাদের বেশি বেশি ইবাদত করা উচিত। বিশেষ করে দোয়া করা উচিত নিজেদের, পরিবার, সমাজ ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য। আজকের বিশ্বে মুসলমানরা নানা নির্যাতনের শিকার— ফিলিস্তিন, উইঘুর, বাংলাদেশসহ বহু জায়গায় মুসলমানরা নিপীড়িত। রমাদানে আমাদের কর্তব্য হলো তাদের জন্য দোয়া করা, যেন আল্লাহ তাদের মুক্তি দেন ও শান্তি ফিরিয়ে আনেন।

রমাদান হলো কুরআন নাজিলের মাস, তাই আমাদের উচিত কুরআনের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করা। বছরের অন্যান্য সময় ব্যস্ততার কারণে আমরা হয়তো নিয়মিত কুরআন পড়তে পারি না, কিন্তু এই মাসে অন্তত নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত, অধ্যয়ন এবং আমলের চেষ্টা করা দরকার। তবে রমাদান শেষ হলে যেন আমরা কুরআন ও ইসলামের শিক্ষা ভুলে না যাই, বরং সারা জীবনের জন্য তা গ্রহণ করি।

রমাদান আমাদের জন্য এক আশীর্বাদস্বরূপ। এটি আত্মশুদ্ধির মাস, আল্লাহর রহমত ও বরকত অর্জনের মাস। যারা এই মাস পেয়েছে, তারা সত্যিই সৌভাগ্যবান। আসুন, আমরা সবাই এই মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাই, নিজের আমল বৃদ্ধি করি, গুনাহ থেকে মুক্তির চেষ্টা করি, এবং তাকওয়ার পথে নিজেদের পরিচালিত করি। আহলান সাহলান, মাহে রমাদান!

সাইফুল্লাহ সাইফ

শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

Sponsor

Daily Darpan

Contact for Sponsor

You cannot copy content of this page